খরচ সামলাতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কি অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হচ্ছে?

Naunihal Singh working in a Melbourne supermarket (SBS-Sandra Fulloon).jpg

Naunihal Singh working in a Melbourne supermarket Source: SBS / Sandra Fulloon

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অবস্থান আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকার উপরের দিকে। বিশেষত ভারত থেকে ইতিমধ্যে ১ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী এখানে ভর্তি হয়েছে। তবে তাদের অনেককেই এখানকার খরচ সামলাতে একাধিক কাজ করতে হচ্ছে। আবার কারও কারও ওপরে দেশে টাকা পাঠানোর চাপও রয়েছে।


মাস্টার্স পর্যায়ের ছাত্র নওনিহাল সিং অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের খরচ চালাতে মেলবোর্নের একটি সুপারমার্কেটে কাজ করছেন। যদিও তিনি বলেন যে জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় বহন করা সহজ নয়।

ভারত থেকে এ দেশে আসা লাখেরও অধিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে মি. সিং একজন, যাকে এক সাথে বেশ কয়েকটি কাজ করতে হচ্ছে।

ভারতের হায়দ্রাবাদ থেকে গত বছর লা ট্রোব ইউনিভার্সিটির রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সেলিংয়ে দুই বছরের মাস্টার্স ডিগ্রি-তে পড়তে এসেছেন মি. সিং। শিক্ষার্থীদের কাজের সময়সীমার উপরে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকার সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করছেন তিনি।

তবে এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন অব অস্ট্রেলিয়ার সিইও ফিল হানিউডের কাছে শিক্ষার্থীদের এই বেশি কাজ করার প্রবণতা উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, কিছু কিছু শিক্ষার্থী ৩ বা ৪টি চাকরিও করছে- যা তাদের পড়াশোনার সময় ও মনোযোগের ক্ষতি সাধন করে।

এ দেশে স্টাডি ভিসা পেতে হলে আবেদনকারীদের নিজেদের আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ দাখিল করতে হয় যে তারা এখানে পড়াশোনা ও নিজের খরচ চালিয়ে যেতে সক্ষম। তবে মি. হানিউড বলেন, কিছু শিক্ষার্থী তারপরেও কাজ চালিয়ে যাবে এমনটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ফুল টাইম পড়াশোনার সাথে সাথে কয়েকটি কাজ করা শিক্ষার্থীদের জন্যে ক্লান্তিকর এবং অনেক ক্ষেত্রেই তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
ডিপার্টমেন্ট অব হোম অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষ ছয় মাসে ভারত থেকে ৪৪ হাজার স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন এসেছে, যা চীন থেকে আসা ৩৯ হাজার আবেদনকে ছাড়িয়ে গেছে।

গত সপ্তাহে চীন অনলাইনে পড়াশোনার উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে, যার ফলে প্রায় ৪০ হাজার চীনা শিক্ষার্থী তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করতে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।

মেলবোর্নের আরএমআইটির ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর শেরম্যান ইয়ং বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও বেশি করে মুখোমুখি পাঠদান এবং মহামারী পরবর্তী স্বাভাবিক ক্যাম্পাস জীবনে ফিরে আসার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রয়েছে।

ভারতে ৩৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন মানুষ রয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়ায় কাজের উপরে এই সময়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় অনেকেই এখানে পড়তে আসতে চাইছে। তবে মি. হানিউড বলেছেন যে এটি শীঘ্রই পরিবর্তিত হবে।

বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ায় থাকা এবং পড়াশোনা শেষ করে এ দেশে স্থায়ী অধিবাসী হিসাবে কাজ করা।

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share