আফগানিস্তান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আসা প্রথম ফ্লাইট পৌঁছাল পার্থে

A bus at Perth Airport is the final part of the journey (SBS)

A bus at Perth Airport is the final part of the journey Source: SBS

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

ভীত পদক্ষেপে নতুন এক জীবনের পথে যাত্রা.... শেষ পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় আকাশপথে আগমন এবং স্বস্তির নিঃশ্বাস…


আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ট্রেলিয়ান ও আফগান নাগরিকদের প্রথম দলটি
গতকাল ২০ আগস্ট ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পার্থে পৌঁছেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আগে তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

তাদের অনেকেরই আফগানিস্তান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আগমনের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত বেদনাময় ছিল। অনেকে তাদের প্রিয়জনদের সেই দেশের মাটিতে রেখে এসেছেন।

পৌঁছেই অনেকের জরুরী সাহায্যের প্রয়োজন হয়েছিল, অনেকে ফিরে গেছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। আশ্রয়লাভীদের অন্যতম ফাহিম, সোনা এবং তাদের তিন মাসের শিশু ইদ্রিস।
ফাহিম তার ভাইয়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হন বিমানবন্দরে। ভুল কাগজ থাকায় তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
ফাহিম আফগানিস্তানে আটকে পড়া সব অনুবাদকদের উদ্ধার করার আহবান জানান।

সাবেক এই অনুবাদক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবু তিনি আবার ফিরে গিয়েছেন নিরাপদ প্যাসেজের জন্য।

 আশ্রয়প্রার্থীদের পক্ষে কর্মরত অনেক আইনজ্ঞ আফগান শরণার্থীদের দেশত্যাগে সহযোগিতা করছেন। এডভোকেটদের মতে প্রায় ৬০০'র অধিক ক্লায়েন্ট এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় বা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আটকে আছেন।

মিলিটারি লয়ার গ্লেন কোলোমেইজ তাদের অন্যতম যিনি আটকে পড়া আফগানদের বের করে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

অস্ট্রেলিয়ার উদ্ধার কাজে ব্রিটিশ মিলিটারির বিমান সাহায্য করে আসছে।

নিরাপদে এদেশে আনার কাজে অগ্রগতি নিয়ে প্রধান মন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন,
বিভিন্ন ফ্লাইটে এ পর্যন্ত ১৬২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে যারা বিমান বন্দর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি তাদের আটকে পড়া স্থান থেকে
উদ্ধার করতে বেশ ঝুঁকি আছে বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে অন্যান্য দেশ ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মিস্টার কলোমেজ ।
যেমন ফ্রান্স কাবুলে তাদের দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের উদ্ধার করতে চেষ্টা করছে।

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত আফগান প্রতিনিধিদের
সাথে ইতোমধ্যে সাক্ষাৎতাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন।

অস্ট্রেলিয়ানদের এই ভালবাসা ও সহানুভূতির জন্য ফাহিম ও সোনা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তারা আশা করেন একদিন তার পরিবারের সবাই আবার একত্রিত হতে পারবেন।

 প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

এ বিষয়ে আরও দেখুনঃ


Share