মানসিক পীড়ন: লুকানো সংকট হাজার হাজার অস্ট্রেলিয়ান শিশুকে যেভাবে প্রভাবিত করছে

Sad boy

Emotional abuse of Australian children is on the rise, becoming the most common form of child abuse (Image representational). Source: Moment RF / mrs/Getty Images

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

অস্ট্রেলিয়ান শিশুদের মানসিক পীড়ন বাড়ছে, এটি শিশু নির্যাতনের সবচেয়ে সাধারণ সংকট হয়ে উঠেছে। তা সত্ত্বেও, নতুন গবেষণা দেখায় যে অস্ট্রেলিয়ার মাত্র অর্ধেক শিশু কর্তৃপক্ষকে এই নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ করে, যারা নির্যাতনের শিকার বলে মনে করা হয়। চাইল্ড প্রটেকশন উইক উপলক্ষে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন।


মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মানসিক নির্যাতনের কারণে সৃষ্ট লুকানো ক্ষতি এবং তরুণদের জীবনে এর গভীর প্রভাব সম্পর্কে আরও সচেতনতার আহ্বান জানিয়েছেন।

এর কারণ অস্ট্রেলিয়ান শিশুরা আগের চেয়ে বেশি মানসিক পীড়নের সম্মুখীন হচ্ছে।

নতুন গবেষণা প্রকাশ করে যে এটি দেশে শিশু নির্যাতনের সবচেয়ে সাধারণ রূপ হয়ে উঠেছে, এবং এখনও, অস্ট্রেলিয়ানদের মাত্র অর্ধেক শিশু যারা পীড়নের শিকার বলে সন্দেহ করা হয় তারা এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগ কর্তৃপক্ষকে জানায়।

অ্যাক্ট ফর কিডস-এর প্রধান নির্বাহী ডঃ ক্যাটরিনা লাইনস বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের নির্যাতন এবং দেশের শিশুদের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে আরও আলোকপাত করা গুরুত্বপূর্ণ।

সংবেদনশীল নির্যাতন এমন একটি আচরণের প্যাটার্ন যা একটি শিশুর আত্ম-মূল্যবোধকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তাদের মানসিক বিকাশকে প্রভাবিত করে, যার মধ্যে রয়েছে, ক্রমাগত চিৎকার করা, গালাগালি করা, অপমান করা, সমালোচনা করা, হুমকি দেওয়া, একটি শিশুর মনে আঘাত করে কিছু বলা বা তাদের লজ্জা দেওয়া।

অ্যাক্ট ফর কিডস-এর সমীক্ষা দেখায় যে এই ধরনের নির্যাতনের সবচেয়ে সাধারণ বিষয় হচ্ছে দুর্ব্যবহার, যেখানে জরিপ করা ৪৫,৪০০ অস্ট্রেলিয়ান শিশুর মধ্যে ৫৭ শতাংশই ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং ১৪-১৭ বছর বয়সী উত্তরদাতাদের অর্ধেকেরও বেশি স্কুলে মানসিক নির্যাতনের ঘটনার সাক্ষী হয়েছে।

গবেষণাটি আরও প্রকাশ করে যে ৮৭ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান সম্মত হন যে অস্ট্রেলিয়ায় মানসিক নির্যাতন একটি গুরুতর সমস্যা। তবে দশজনের মধ্যে নয়জনই শৈশবকালীন দুর্ব্যবহারের প্রবণতাকে নগণ্য মনে করে।

এবং প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়ান স্বীকার করেন না যে স্নেহ-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করা এক ধরনের মানসিক নির্যাতন।

অ্যাট অ্যাক্ট ফর কিডস-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অফ সার্ভিস অপারেশনস ড. কায় পিকারিং বলেন যে গবেষণাটি উদ্বেগজনক কারণ মানসিক নির্যাতন শিশুদের সামগ্রিক সুস্থতার উপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

২০২৩-২৪ সালে পরিচালিত অস্ট্রেলিয়ান চাইল্ড মাল্টট্রিটমেন্ট স্টাডি বা ACMS প্রকাশ করে যে ৩০.৯ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান শিশু ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়।

দেশে শিশু নির্যাতনের প্রবণতা নিয়ে এসিএমএস (ACMS) এই প্রতিবেদনটি হল একটি যুগান্তকারী অস্ট্রেলিয়ান গবেষণা।

ডেভিড লরেন্স, মানসিক স্বাস্থ্যের একজন অধ্যাপক এবং অস্ট্রেলিয়ান চাইল্ড ম্যালট্রিটমেন্ট স্টাডিতে তার অবদান আছে। তিনি বলেন যে প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে যে যৌন নির্যাতনের প্রভাব মানসিক নির্যাতনের মতোই।

অস্ট্রেলিয়ান ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড প্রোটেকশন স্টাডিজের ডিরেক্টর প্রফেসর ড্যারিল হিগিন্স বলেছেন যে এসিএমএস (ACMS) রিপোর্ট দেখায় যে মানসিক নির্যাতন অস্ট্রেলিয়ার মানসিক স্বাস্থ্য সংকটের একটি প্রধান কারণ, তাই প্রাথমিক প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

ড. লাইনস বিশ্বাস করেন যে সম্প্রদায়ের শিশুদের রক্ষা করা এবং মানসিক নির্যাতনের লক্ষণগুলি সন্ধান করা এবং এটি মোকাবেলা করা সকলের দায়িত্ব এবং এটি শুধু সরকারেরই কাজ নয়।

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়তে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।

আপনি কি জানেন, এসবিএস বাংলা অনুষ্ঠান এখন ইউটিউব এবং পাওয়া যাচ্ছে। হ্যাঁ, আমরা আমাদের প্লাটফর্ম বিস্তৃত করছি। এসবিএস সাউথ এশিয়ান, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য।

এসবিএস বাংলা টিউন করুন এসবিএস অন ডিমান্ডে সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায়। দক্ষিণ এশীয় অন্যান্য ভাষায় সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলো সরাসরি শুনতেও অন ডিমান্ডে টিউন করুন।

এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুনএসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে। এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে।

ভিজিট করুন আর, এসবিএস বাংলার এবং ইউটিউবেও পাবেন। ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন চ্যানেল। উপভোগ করুন দক্ষিণ এশীয় ১০টি ভাষায় নানা অনুষ্ঠান। আরও রয়েছে ইংরেজি ভাষায় এসবিএস স্পাইস।




Share