যুক্তরাষ্ট্র,জাপান এবং ভারতের সাথে নৌমহড়ায় অংশ নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

Quad foreign ministers

Foreign Affairs Minister Marise Payne (L) at the Quadrilateral Security Dialogue meeting in Tokyo Source: Getty Images

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

এক দশকেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া ,যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ভারতের সাথে নৌমহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এই পদক্ষেপে চীনের সাথে আরও উত্তেজনা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।২০০৮ সালে রাড সরকার কোয়াড থেকে সরে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়াকে তথাকথিত কোয়াড’ বা ‘কোয়াড্রি ল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়লগ এর দেশগুলির সাথে বার্ষিক মালাবর নৌ মহড়ায় পুনরায় যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে । প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারের ক্লিপটিতে ক্লিক করুন।


যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ভারত এই তিন জোটের সাথে অস্ট্রেলিয়া পুনরায় সামরিক মহড়ায় যোগ দিচ্ছে। চলতি মাসের গোড়ার দিকে টোকিওতে একটি বৈঠকে চারটি দেশ নিয়ে গঠিত তথাকথিত "কোয়াড" দেশগুলি - বঙ্গোপসাগরে আসন্ন মালাবর নৌ মহড়ায় যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লিন্ডা রেইনল্ডস একটি বিবৃতিতে বলেন যে মালাবারের মতো সামরিক মহড়া অস্ট্রেলিয়ার সামুদ্রিক ক্ষমতা বাড়াবে এবং একটি উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরকে সমর্থন করার জন্য অস্ট্রেলিয়া দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন বলেন, এই পদক্ষেপে কোয়াড দেশগুলির একসাথে কাজ করার ক্ষমতা এবং পুরো অঞ্চলজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে। তবে এই পদক্ষেপের ফলে অস্ট্রেলিয়া ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে ।
Lowy ইনস্টিটিউট এর Sam Roggeveen বলেন যে এই পদক্ষেপকে চীনের বিরুদ্ধে জোট হিসাবে দেখা উচিত নয়।
অস্ট্রেলিয়াকে কোয়াড থেকে সরিয়ে নেওয়ার সময় ক্ষমতায় থাকা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেভিন Rudd, এই সংবাদকে স্বাগত জানিয়েছেন।

২০০৮ সালে সরে আসার পরে, অস্ট্রেলিয়া ২০১৭ সালে পুনরায় যোগদানের চেষ্টা করেছিল কিন্তু ভারত সেটি অবরোধ করে।সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উভয় দেশের মধ্যে বন্ধন আরও জোরদার হয়েছে।চীন ও ভারত হিমালয়ের সীমান্ত নিয়ে সংঘর্ষের পরে এই পদক্ষেপ আসে।
ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ডঃ জগন্নাথ পান্ডা বলেন যে এই পরিস্থিতি থেকে অস্ট্রেলিয়া উপকৃত হয়েছে।

Lowy ইনস্টিটিউট এর স্যাম রোগভিন বলেন যে এই পদক্ষেপের পরিণতি এখনও দেখা যায়নি।
চীন এখনও এই অগ্রগতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

 


Share