অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন ৮৫ শতাংশ হ্রাস পাওয়ার আশংকা, জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত উন্মুক্ত করতে পারে সরকার

সরকার গতকাল বৃহস্পতিবার যে ট্রেজারি মডেলিং প্রকাশ করেছে তা মূলত অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্ত পুনরায় খুলে দেয়ার বিষয়কে ভিত্তি করে রচিত। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন চলতি বছরে ৮৫ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Herd Immunity makes it hard for infectious disease to spread

Herd Immunity makes it hard for infectious disease to spread Source: AAP

সরকারের মডেলিং অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে খুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে এজন্য তাদের দুসপ্তাহের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। 

বৃহস্পতিবার ফেডারেল সরকারের অর্থিনীতি হালনাগাদকরণ তথ্য থেকে বর্ডার খুলে দেয়ার প্রসঙ্গ এসেছে এবং পুনরায় স্থায়ী-অস্থায়ী বাসিন্দাদের অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে দেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে, কারণ অর্থনীতিকে গতিশীল করতে এর প্রয়োজন আছে বলে তারা মনে করেন।

তবে ট্রেজারার জশ ফ্র্যাডিনবার্গ ঠিক কবে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেবে তার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন।  

তিনি বলেন, "সীমান্ত উন্মুক্ত করা প্রসঙ্গে আমাদের ধারণা হচ্ছে, এটা ধীরে ধীরে শুরু হবে, এজন্য কোয়ারেন্টাইন নীতি প্রয়োগের কথা আছে, এভাবেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনুমতি দেয়া হচ্ছে, এভাবেই কাজ এগুচ্ছে।"

"অবশ্যই করোনাভাইরাস কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি বিরাজমান, তা খুবই অনিশ্চিত। তাই ঠিক কবে সীমান্ত খুলে দেয়া হবে সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। যে সময়ের কথা বলা হয়েছে তা পূর্বাভাস মাত্র, পরিস্থিতি খুবই অস্থিতিশীল।" 

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল ব্যানের কারণে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন চলতি বছরে ৮৫ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

সরকার ধারণা করছে, ২০১৮-১৯ সালে যে ২৩২,০০০টি ভিসা দেয়া হয়েছিল তা থেকে কমে ২০১৯-২০ সালে ১৫৪,০০০ হবে এবং ২০২০-২১ সালে তা আরো কমে মাত্র ৩১,০০০-এ এসে দাঁড়াবে। 

এই মডেলিং থেকে আরো ধারণা করা হচ্ছে, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল ব্যান প্রকৃত অভিবাসন সংখ্যাটিকে প্রভাবিত করবে এবং প্রার্থীদের ভিসা এপ্লিকেশনের যোগ্যতাও হ্রাস পাবে। 

এর অর্থনৈতিক চিত্রটি বলছে, "প্রাদুর্ভাবের গতিপথ এবং দেশ-বিদেশে এটি নিয়ন্ত্রণে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, তার ফলে ভবিষ্যতে অভিবাসন মাত্রা ভীষণ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।"
Deloitte's Chris Richardson says the hit to migration is putting a hole in the economy. (AAP)
Deloitte's Chris Richardson says the hit to migration is putting a hole in the economy. (AAP) Source: AAP
ডেলয়েট-এর অর্থনীতিবিদ ক্রিস রিচার্ডসন বলেন, অভিবাসনের এই তীব্র অবনমনের ফলে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার হারিয়ে যাবে। 

তিনি এসবিএস নিউজকে বলেন, "এটা অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির একটা বড় ফাঁক। " 

তিনি বলেন, "এ ধারা চলতে থাকলে ২০২১ সালের শেষে গিয়ে ভাইরাসের আগে যে পরিমান অভিবাসন হওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে ২,৫০,০০০ মানুষ কম আসবে।”

তিনি বলেন, এখন স্বাস্থ্যগত কারণে বর্ডার বন্ধ রাখা ঠিক আছে, কিন্তু যখন স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে যাবে তখন অস্ট্রেলিয়াকে 'আরো বেশি পরিমানে অভিবাসনের' দিকে ফিরে যেতে হবে।  

আরও পড়ুনঃ



Share
Published 24 July 2020 7:31pm
By Tom Stayner
Presented by Shahan Alam
Source: SBS

Share this with family and friends