করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিন দেশে জরুরি সেবা, পণ্য পরিবহন, নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া প্রায় সব কিছুই বন্ধ থাকবে। এ সময় মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকার রাস্তায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। এ সময় সেনাবাহিনীও মাঠে থাকছে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ বের হলে তাঁকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে সংবাদপত্রসহ জরুরি সেবা আওতামুক্ত।

Empty Road at Dhaka

Source: SBS Bangla

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকার রাস্তায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। এ সময় সেনাবাহিনীও মাঠে থাকছে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ বের হলে তাঁকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে সংবাদপত্রসহ জরুরি সেবা আওতামুক্ত।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত মঙ্গলবার বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ১০ দিনের ছুটি বা সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং আদালতের জন্য প্রযোজ্য। সংবাদপত্রসহ অন্যান্য জরুরি কার্যাবলির জন্য এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।

মানুষের স্থানান্তর বন্ধ রাখতে বাস, ট্রেন, নৌযান, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে প্রয়োজন অনুসারে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর, কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য জরুরি সেবাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। সীমিত পরিসরে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা ব্যাংকও খোলা।

এমনিতেই কয়েক দিন ধরে রাজধানী অনেকটা ফাঁকা। বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গণপরিবহনও অনেকটাই কম। এই অবস্থা আজ আরো প্রকটভাবে দৃশ্যমান। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়েও কেউ বের হচ্ছেন না। এরপর সেনাবাহিনী মাঠে নামায় মানুষের স্থানান্তর আরো অনেকটা কমে এসেছে।

জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। মানুষকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন। সেনা সদস্যরা বিদেশফেরত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা, জনসমাগম রোধ করা, বাজার মনিটরিংসহ নানা কাজে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করছেন।

এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। এরপর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য বিপণিবিতান বন্ধ দেখা যায়। রাস্তাঘাটেও লোকজন খুব কম লক্ষ্য করা গেছে। সেনা সদস্যদের টহলের খবরে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে কম।

কয়েক দিন ধরে রাজধানীও অনেকটা ফাঁকা। বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গণপরিবহনও অনেকটাই কম। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়েও কেউ বের হচ্ছেন না। এরপর সেনাবাহিনী মাঠে নামায় মানুষের স্থানান্তর আরো অনেকটা কমে এসেছে। ঢাকার বাইরেও সেনাবাহিনীর টহলে অনেকটাই ঘরমুখী হচ্ছে মানুষ।


Share
Published 26 March 2020 11:11pm
By Ali Habib
Presented by Abu Arefin

Share this with family and friends