Breaking

করোনাভাইরাস আপডেট: বিদেশ ভ্রমণ এবং শতাধিক ব্যক্তির ঘরোয়া সমাবেশ নিষিদ্ধ করলো ফেডারাল সরকার

একশ’ কিংবা তারও বেশি ব্যক্তির ঘরোয়া সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। এ ছাড়া, অস্ট্রেলিয়ানদের বিদেশ-ভ্রমণে যেতেও নিষেধ করেছেন তিনি।

করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীর আকার ধারণ করার পরিপ্রেক্ষিতে ১০০ কিংবা তারও বেশি লোকের উপস্থিতিতে অপ্রয়োজনীয় ইনডোর গ্যাদারিং বা ঘরোয়া সমাবেশ এবং অস্ট্রেলিয়ানদের বিদেশ ভ্রমণ করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের জন্য আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন কঠোরভাবে নতুন কিছু নির্দেশনা ঘোষণা করেন। এর মধ্যে পুরো বিশ্বের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।

তিনি বলেন,

“বিদেশে যাবেন না। এটি অনেক পরিষ্কার নির্দেশনা। যারা স্কুল হলিডেইজ-এ বিদেশে যাওয়ার কথা ভাবছেন, এটা করবেন না। বিদেশে যাবেন না।”

মিস্টার মরিসন বলেন, এ দেশের ইতিহাসে ব্লাঙ্কেট ব্যান বা পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার ঘটনা এটাই প্রথম।
অপ্রয়োজনীয় লোক-সমাগম নিষেধাজ্ঞা আরও বৃদ্ধি করেছে সরকার। এ ক্ষেত্রে লোক-সংখ্যা ১০০ বা এর কমে নামিয়ে আনা হয়েছে।

গত সোমবার থেকে ঘরের বাইরে ৫০০ কিংবা তদূর্ধ্ব ব্যক্তির সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।

তবে, এসব নিষেধাজ্ঞা স্কুল, গণ-পরিবহন এবং দরকারী কর্মক্ষেত্রগুলো, যেমন, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবাগুলোর প্রতি প্রযোজ্য নয়।

ঐ ধরনের পরিস্থিতিগুলোতে অস্ট্রেলিয়ানদেরকে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। এর মানে হলো, নিকটবর্তী ব্যক্তির সঙ্গে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

বুধবার মিস্টার মরিসন বলেন, স্কুলগুলো খোলা থাকবে। কারণ, শিশুদের উপরে করোনাভাইরাসের কুপ্রভাব তুলনামূলকভাবে কম-গুরুতর। তবে, তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান, শিশুরা যদি অসুস্থ্য হয়, তাদের মাঝে যদি কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে তাদেরকে ঘরেই রাখুন।
The Federal Government has ordered Australians not to travel for the first time in the nation's history.
حکومت آسترالیا برای نخستین بار در تاریخ کشور به شهروندانش دستور داده به خارج سفر نکنند. Source: AAP
তিনি বলেন, এই বৈশ্বিক মহামারী অন্তত ছয় মাস বা তারও বেশি সময় ধরে চলতে পারে। সেজন্য সরকার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।

“আমরা অস্ট্রেলিয়াকে সচল রাখতে যাচ্ছি। আমরা অস্ট্রেলিয়াকে কার্যকর রাখতে যাচ্ছি। সাধারণত এটা যেভাবে চলে অবস্থা সে-রকম দেখা যাবে না। তবে, পরিবর্তনশীল এবং টেকসই নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

“আমরা যার মোকাবেলা করছি সেখানে কোনো দুই-সপ্তাহের উত্তর নেই, কোনো স্বল্প-মেয়াদী, দ্রুত সমাধান নেই। সবকিছু আপনি শুধু দু’সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেবেন এবং এর পর আবার সবকিছু পুনরায় শুরু করবেন ফলে এসব (সমস্যা, ভাইরাস) চলে যাবে- এ রকম ধারণার কোনো প্রমাণ নেই। এগুলোর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই, এমন কোনো তথ্য নেই এবং এর জন্য এটা আমাদের পদ্ধতিও নয়।”

Share
Published 18 March 2020 11:41am
Updated 22 March 2020 5:49pm
Presented by Sikder Taher Ahmad


Share this with family and friends