বাংলাদেশের ৫০ জেলায় ছড়িয়েছে ডেঙ্গু

ডেঙ্গু ছড়িয়েছে বাংলাদেশের ৫০ জেলায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক হাজার ৯৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার জানিয়েছে, ৫০টি জেলায় ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় আক্রান্তদের অনেকে ঢাকা থেকে রোগ নিয়ে গেছেন। তবে রাজধানীর বাইরেও এডিস মশার বিচরণ রয়েছে বলে স্থানীয় পর্যায়ে আক্রান্তের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

Dengue fever is often known to be spread by mosquito

Dengue fever is often known to be spread by mosquito. Source: AAP

ঢাকায় এডিস এজিপ্টি মশাই প্রধানত ডেঙ্গুর বাহক; তবে ঢাকার বাইরে থাকা এডিস এলবোপিকটাস মশাও ডেঙ্গু রোগের কারণ হতে পারে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের একজন জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক। তিনি বলছেন, এডিস এলবোপিকটাস মশাও ডেঙ্গুর কারণ হতে পারে। আর এই মশাটি ঢাকার বাইরের অঞ্চলগুলোতে রয়েছে। সুতরাং এই মশার (এডিস এলবোপিকটাস) কোনটি যদি ঢাকা থেকে যাওয়া কোনো ডেঙ্গু রোগীকে কামড় দেয়, তবে ওই এলাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়তে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯৬ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৮২৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে সোমবার পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ হাজার ৬৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিন হাজার ৮৪৭ জন। এ সময়ের মধ্যে হাসপাতাল থেকে নয় হাজার ৭৮২ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ২৫ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে এলেও সরকারি হিসাবে এখনও মৃতের সংখ্যা আটজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে মিটফোর্ডে ১১৩, শিশু হাসপাতালে ৩৪, সোহরাওয়ার্দীতে ৪৮, হলি ফ্যামিলিতে ৪১, বারডেমে ২৩, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭, পুলিশ হাসপাতালে ২১, মুগদা মেডিকেলে ৬০, বিজিবি হাসপাতালে ১০ এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৭৯ ডেঙ্গু রোগী গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে।

একই সময়ে রাজধানীর বাইরে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট এক হাজার ২৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছে ৫৩১ জন।

তীব্র জ্বর, মাথা ব্যথা ও মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরে লালচে দানা ইত্যাদি ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ হলেও এবার এর ব্যতিক্রম পাওয়া যাচ্ছে।

জ্বর হলে কাছের হাসপাতালে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্তের পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছে সরকার। চিকিৎসকরা জ্বরে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি রোগীকে বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়াতে বলেছেন। এবার ডেঙ্গুজ্বরে রক্তের ঘনত্ব কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ায় আক্রান্তের রক্তচাপ কমে যাচ্ছে কি না, তা নিয়মিত পরীক্ষা করতে বলা হচ্ছে। জ্বর ভালো হওয়ার পরও ডেঙ্গুজনিত মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।
Dr ABM Abdullah & Dr Mohammad Ashraful
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ এবং ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আশরাফুল হক। Source: Supplied
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন, মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলছেন, ডেঙ্গু, যা এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। ডেঙ্গু ক্লাসিক্যাল, ডেঙ্গু হেমোরেজিক ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম—এই কয়েক ধরনের ডেঙ্গু হয়। যেমন—

ক্লাসিক্যাল

ক্লাসিক্যাল বা সাধারণ ডেঙ্গুতে প্রচণ্ড জ্বর হয়, যা ১০৪ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্তও হতে পারে। জ্বর দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। সঙ্গে মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, চোখের পেছনে ব্যথা, মাংসপেশি বা গিঁটে ব্যথা, শরীরে র‌্যাশ থাকতে পারে। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু হলে তেমন সমস্যা নেই, এতে মৃত্যুর মতো ঘটনা সাধারণত ঘটে না।

হেমোরেজিক

ডেঙ্গু হেমোরেজিকে জ্বর কমে যাওয়ার দু-তিন দিনের মধ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল লাল র‌্যাশ বা রক্তবিন্দুর মতো দাগ দেখা যায়। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে রয়েছে মাড়ি বা নাক দিয়ে আপনা-আপনি রক্তক্ষরণ, রক্তবমি, কালো রঙের পায়খানা, ফুসফুসে বা পেটে পানি জমা ইত্যাদি। রক্ত পরীক্ষা করালে দেখা যায়, রক্তের অণুচক্রিকা বা প্লাটিলেটের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। হেমোরেজিক ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকি বেশি, যাতে শরীর থেকে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হতে পারে।

ডেঙ্গু শক সিনড্রোম

ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারের উপসর্গগুলোর পাশাপাশি রোগীর রক্তচাপ হঠাৎ কমে যায়, নাড়ির গতি বৃদ্ধি পায়, হাত-পা শীতল হয়ে আসে, রোগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এমনকি রোগী অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের জ্বর হলে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত বা অণুচক্রিকাও দিতে হতে পারে। তবে সবার যে এমন হবে, তা কিন্তু নয়।

ঢাকার মেট্রোপলিটন হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল বলছেন, সাধারণ মানু্ষ ও চিকিৎসকদের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ে বেশ কিছু ভুল বোঝাবুঝি আছে, বিশেষ করে ডেঙ্গু রোগে প্লাটিলেট কাউন্ট ও ব্লাড ট্রান্সফিউশন নিয়ে রোগীরা আতঙ্ক ও বিভ্রান্তিতে ভোগেন বেশি। দেখা যায়, প্লাটিলেট কাউন্ট ৫০ হাজারের নিচে নামলেই রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং ঘন প্লাটিলেট কাউন্ট জানার চেষ্টা করে।

কিন্তু এটা জেনে রাখা দরকার যে প্লাটিলেট কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া দিয়ে ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা মাপা হয় না। প্লাটিলেট ঠিক থাকলে রোগী ভালো থাকবে তা-ও নয়। প্লাটিলেট দিলেই যে রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে এমনও নয়। সুতরাং এই অহেতুক প্লাটিলেট ট্রান্সফিউশন ডেঙ্গুকে বরং জটিল করে তোলে। 

তিনি বলছেন, প্লাটিলেট দেওয়ার ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন আছে। রক্তক্ষরণের চিহ্ন দেখা দিলে এবং প্লাটিলেট কাউন্ট ২০ হাজারের নিচে নামলে অথবা রক্তক্ষরণ নেই কিন্তু প্লাটিলেট ১০ হাজারের নিচে, তবেই প্লাটিলেট দেওয়ার কথা ভাবা হয়।

প্লাটিলেট কমে যাওয়া (থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া) কোনো মেডিক্যাল ইমারজেন্সি নয়। অর্থাৎ প্লাটিলেট কমে যাওয়া মাত্রই রোগী রক্তক্ষরণ হয়ে হঠাৎ মারা যাবে বিষয়টি এ রকমও নয়। প্লাটিলেট কমলে শরীরে এক ধরনের মাইনর ক্যাপিলারি ব্লিডিং (ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ বা এই জাতীয়) হয়।

রোগী মারা যায় মূলত ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে। অর্থাৎ ডেঙ্গু ভাইরাসের কারণে রক্তনালিগুলো আক্রান্ত হয়। রক্তনালির গায়ে যে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে সেগুলো বড় হয়ে যায়। তা দিয়ে রক্তের জলীয় উপাদান বা রক্তরস বের হয়ে আসে। তখন রক্তচাপ কমতে থাকে, পিসিভি বা প্যাকড সেল ভলিউম বাড়তে থাকে। এটা ঠেকাতে তখন রোগীকে পর্যাপ্ত ফ্লুইড বা তরল দিতে হবে। এই তরল মুখে খাওয়ানো যেতে পারে বা শিরায় দেওয়া যেতে পারে।

ডেঙ্গু হলে প্লাটিলেট কত তা ঘন ঘন না দেখে রোগীর রক্তচাপ ঠিক আছে কি না, রোগী পানিশূন্যতায় ভুগছে কি না, রক্তের পিসিভি বা হেমাটোক্রিট কেমন তা দেখা উচিত। যদি এমনটি হয় তাহলে পর্যাপ্ত তরল দিন বা ফ্লুইড কারেকশন করুন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
Dr Gulzar Hosain & Dr Sania Tahmina
ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডাইরেক্টর, সিডিসি-র পরিচালক ডা. সানিয়া তহমিনা। Source: Supplied
ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আশরাফুল হক বলছেন, কিছু বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। যেমন—

—জ্বরের সঙ্গে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাচ্ছে কি না।

—শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে কি না।

—যাদের হার্টের সমস্যা ছিল তাদের হূদরোগের কোনো উপসর্গ নতুন করে দেখা যাচ্ছে কি না।

—হৃদরোগ ছিল না এমন ব্যক্তির হঠাতৎ হৃদরোগের উপসর্গ দেখা দিয়েছে এমন হলে।

—স্বাভাবিকের চেয়ে শরীর বেশি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে।

—দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে বা প্রেশার কম অনুভব হচ্ছে ইত্যাদি।

করণীয় হিসেবে তিনি বলছেন, প্রচুর পরিমাণে পানি, শরবত ইত্যাদি তরল খাদ্য পান করা উচিত।

—ভিটামিন-সি জাতীয় দেশি ফল বেশি করে খাওয়া উচিত। কারণ এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

—ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। কারণ এটি রক্তের উপাদানের তারতম্য করাসহ নানাবিধ ক্ষতি করে।

—জ্বর হলে নিজ থেকে চিকিত্সা শুরু করা ঠিক নয়।

—এই মৌসুমে ব্যথার ওষুধ খাওয়ার বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন খুবই জরুরি।

ডেঙ্গু রোগে রক্তের প্রয়োজন হয়। যিনি রক্ত দেবেন তাঁর কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন—

—রক্ত জমাট না বাঁধার কোনো ওষুধ খেলে তিনি কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা রক্তদান থেকে বিরত থাকবেন।

—একেবারে খালি পেতে রক্তদান কেন্দ্রে যাওয়া উচিত নয়, বিশেষ করে চার ঘণ্টার বেশি গ্রহণযোগ্য নয়।

—কারো যদি প্লাটিলেট লাগে, তবে তার রক্তদাতাকে দুই ঘণ্টার মধ্যে ভারী খাদ্য গ্রহণ করা উচিত নয়। এতে প্লাটিলেটের কাজ কমে যায়।
The aedes aegypti mosquito is responsible for spreading Zika and other tropical diseases like dengue fever.
The aedes aegypti mosquito is responsible for spreading Zika and other tropical diseases like dengue fever. Source: AAP
সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডাইরেক্টর, সিডিসি-র পরিচালক ডা. সানিয়া তহমিনা বলছেন, প্রথম যখন জ্বর আসবে তখন রোগীকে বিশ্রামে থাকতে হবে, লেবুর শরবত, ফলের জুস, ডাবের পানি, ওরাল স্যালাইন ইত্যাদি জাতীয় তরল পান করাতে হবে। সেই সঙ্গে সতর্কতার জন্য মশা থেকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হতে হবে ডেঙ্গু হয়েছি কি না। যদি কেউ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় তবে অবশ্যই মশারি টানাতে হবে। যারা তার সঙ্গে বা একই ঘরে থাকবে তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে, কারণ ওই রোগীকে কামড়িয়ে কোনো নারী মশা অন্য একজনকে কামড়ালে তারও ডেঙ্গু হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ ছাড়া বর্জনীয় হিসেবে দিয়েছি—কোনো ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না।

এ ছাড়া কখন হাসপাতালে যেতে হবে সে জন্য আমরা গুরুত্ব দিয়েছি ওয়ার্নিং সাইন হিসেবে। জ্বর না থাকলেও ক্রমে দুর্বল হয়ে যাওয়া, কালো পায়খানা করা, বমি করা, রক্ত আসা এবং ঘরে বসেই টুর্নিকেট টেস্ট (হাতে ব্লাড প্রেসার মাপার বেল্ট বাঁধলে রক্ত জেগে ওঠা) পজিটিভ আসার উপসর্গ দেখলে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া দরকার। তা না হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঘরেই বসেই চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা চলতে পারে। এ ছাড়া আরা জটিল রোগীর বা শক সিনড্রোম হলে হাসপাতালে যাওয়া তো একেবারেই জরুরি।

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্রুত বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। ফলে ভয় আর আতঙ্ক ভর করেছে সারা দেশের প্রতিটি ঘরেই। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, রাজধানী ছাড়া দেশের  বেশির ভাগ সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার সরঞ্জাম নেই। ফলে বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে জ্বর নিয়ে রোগীরা ছুটছে। ডেঙ্গু বিষয়ে পরামর্শের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে খোলা হয়েছে হেল্প ডেস্ক। অনেক জেলায় চালানো হচ্ছে সচেতনতামূলক প্রচারণা।

Follow SBS Bangla on .

Share
Published 30 July 2019 4:40pm
By Ali Habib
Presented by Sikder Taher Ahmad

Share this with family and friends